প্রকাশিত: ০৩/০৯/২০১৮ ২:১৯ পিএম

ডেস্ক নিউজ – সিলেট থেকে স্বর্ণের একটি বড় চালান নিয়ে ঢাকায় আসছিল চোরাকারবারী একটি চক্র। ঝুঁকি কমাতে তিনজন করে দুই বাসে ভাগ হয়ে ঢাকায় রওনা দেন তারা। প্রত্যেকের প্যান্টের গোপন পকেটে রাখা হয় ২০টি করে স্বর্ণের বার। যেগুলো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে জনপ্রতি ১৪ হাজার টাকা পেতেন।

তবে চালাকি করেও শেষ রক্ষা হয়নি চোরাই স্বর্ণ বহনকারী চক্রের এই ছয় সদস্যের। রোববার (২ সেপ্টেম্বর) নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় বাস দু’টি তল্লাশি করে ছয়জনকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। পরে তাদের কাছ থেকে মোট ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। ১৪ কেজি ওজনের এ স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ কোটি টাকা।

আটকরা হলেন- জামাল হোসেন (২২), তানভীর আহমেদ (২৫), রাজু হোসেন (২৩), আবুল হাসান (৩৫), রাজু আহমেদ (৩০) ও আলাউদ্দিন (৩২)।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রাহাত হারুন খান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকা থেকে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করে ৬০টি স্বর্ণের বারসহ তিন চোরাকারবারীকে আটক করা হয়। এর পর পরই একই রুটের গ্রিন লাইনের অপর একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে আরও ৬০টি বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে রাহাত হারুন খান বলেন, আটক ওই ছয় চোরাকারবারী যাত্রী বেশে স্বর্ণের চালান নিয়ে ঢাকা আসছিলেন। তাদের প্যান্টের গোপন পকেটে প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে মোট ১২০টি স্বর্ণের বার ছিল। এসব স্বর্ণের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে প্রত্যেকেই ১৪ হাজার টাকা করে পেতেন।

আটকরা দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। চোরাচালানের মাধ্যমে তারা দেশের সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে স্বর্ণ পাচার করে আসছিলেন।

স্বর্ণ চোরাচালানের মূলহোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মূলহোতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত